প্রকাশিত: Tue, Feb 7, 2023 5:40 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 3:55 AM

যদি গায়ের জোরে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা রূপে চালাবার চেষ্টা হয়, তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হবে

ভূঁইয়া আশিক রহমান: তমদ্দুন মজলিস ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছিলো। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেন, দৈনিক ইত্তেহাদের সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদ এবং তমদ্দুন মজলিসের প্রধান অধ্যাপক আবুল কাসেমের নিবন্ধ ছিলো। বিবিসি বাংলা

আবুল মনসুর আহমদ লিখেছিলেন, ‘উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করিলে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত সমাজ রাতারাতি ‘অশিক্ষিত’ ও সরকারি চাকুরির ‘অযোগ্য’ বনিয়া যাইবেন’Ñ ঠিক যা ঘটেছিলো ব্রিটিশরা ফার্সির জায়গায় ইংরেজিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা করার পর ভারতের মুসলিম শিক্ষিত সমাজের ক্ষেত্রে। 

ভাষার প্রশ্নটি যে ‘পাকিস্তানের এক অংশের ওপর আরেক অংশের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আধিপত্য বিস্তারের সাথে জড়িত’ এই বোধ তখন সবার মধ্যে জন্মাতে শুরু করেছে। বলেছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। ওই পুস্তিকায় একটি চমকপ্রদ কথা লিখেছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন তার নিবন্ধে। তিনি লিখেছিলেন, ‘যদি গায়ের জোরে উর্দুকে বাঙালি হিন্দু-মুসলামের উপর রাষ্ট্রভাষা রূপে চালাবার চেষ্টা হয়, তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হবে। কারণ ধূমায়িত অসন্তোষ বেশি দিন চাপা থাকতে পারে না। শীঘ্রই তাহলে পূর্ব-পশ্চিমের সম্বন্ধের অবসান হবার আশঙ্কা আছে’। 

অর্থাৎ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করলে পাকিস্তানের বাঙালিদের ক্ষোভ যে একসময় জাতীয়তাবাদী চিন্তায় রূপ নেবে এবং তা যে পাকিস্তানের বিভক্তি ডেকে আনতে পারে ড. হোসেন তা তখনই অনুভব করেছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব